প্রকাশিত: Thu, Dec 7, 2023 5:22 PM
আপডেট: Sat, Dec 6, 2025 4:13 PM

[১] তাড়াইলে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে, স্বল্প আয়ের ক্রেতাদের স্বস্তি

রুহুল আমিন, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ): [২] বিভিন্ন ধরনের শীতের সবজিতে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার প্রতিটি বাজার ভরে উঠেছে। প্রায় সব প্রকার সবজির দাম কমেছে। খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে সবজির দাম এখন ভোক্তার নাগালের মধ্যে। মাসখানেক আগের চেয়ে বেশ কম দামেই সবজি পাওয়া যাচ্ছে।

[৩] বুধবার উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে ভোক্তাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, শীত মৌসুমে সবজির দর আরও কম থাকার কথা। তবে সবজির দাম কমলেও চাল ও চিনির মতো অনেক নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামে সীমাহীন কষ্টে স্বল্প আয়ের মানুষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্যের দর ওঠানামার বিষয়টি নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। সে জন্য দাম রয়েছে ক্রেতাদের নাগালেই।

[৪] তাড়াইল সদর বাজার ঘুরে দেখা যায়, শিম, বেগুন, করলাসহ বেশ কয়েকটি সবজি ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। ফুলকপি পিস কেনা যাচ্ছে ৪০ টাকা করে। কাঁচামরিচের কেজি ৮০ টাকা। টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। বাজারে আলুর দাম এখনো কমেনি। দুই মাস আগে সরকার খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা বেঁধে দিলেও তা কার্যকর হয়নি। অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণে সরকার বাজার তদারকি[৫]এদিকে মাংসের বাজারে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, কক ৩০০ টাকা, লেয়ার কক ২৮০ টাকা, ক্লাসিক ২৬০ টাকা, কালার বাট ২৫০ টাকা, গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসি ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মাছের বাজারে আগের তুলনায় তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। 

[৬] বাজার করতে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, সবজি ছাড়া অন্য  সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম উর্ধ্বমুখি। বাজার করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এভাবে সকল পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে আমরা যারা নিম্ন আয় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক তাদের বাজার কিনে খেয়ে বেঁচে থাকার মতো অবস্থা নেই। তারা আরো বলেন, গরু ও খাশির মাংসের কাছে তো অনেক আগে থেকেই ঘেষা যাচ্ছে না। মধ্যবিত্তের মাংসের খাবার বলতে ব্রয়লার মুরগী তারও দাম বেড়ে গেছে। ফলে এক-দুই মাসের মধ্যে মুরগীর মাংসও কিনতে পারছি না। [৭] উপজেলা সদরের কাচা বাজার ব্যবসায়ী হুমায়ুন আহমাদ সহ আরো অনেকেই বলেন, বর্তমানে কাঁচা বাজারের সবজি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম একটু কম। 

[৮] এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাজার মনিটরিং অব্যাহত আছে।